চ্যাম্পিয়নস ট্রফির শুরুটা ভালো হলো না বাংলাদেশের। নিজেদের প্রথম ম্যাচে ভারতের কাছে ৬ উইকেটে হারল নাজমুল হোসেন শান্তরা। দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে ২২৮ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। জবাবে শুভমান গিলের সেঞ্চুরিতে ২১ বল হাতে রেখে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ভারত।
উদ্বোধনী জুটিতে ৬৯ রান তোলেন রোহিত শর্মা ও শুভমান গিল। রোহিত ৪১ রান তাসকিন আহমেদের শিকার হলে এই জুটি ভাঙে। ক্রিজে এসে টিকে গিয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি বিরাট কোহলি। ব্যক্তিগত ২২ রানে রিশাদ হোসেনের বলে সৌম্য সরকারের তালুবন্দী হন এই ব্যাটার। ১১২ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় ভারত।
২৮তম ওভারে শ্রেয়াশ আইয়ারকে হারায় তারা। বিদায় নেওয়ার আগে ১৫ রান করেন আইয়ার। কিছুক্ষণ পর রিশাদের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন অক্ষর প্যাটেল। ৮ রান আসে তার ব্যাট থেকে। এরপর লোকেশ রাহুলের সঙ্গে ৮৭ রানের নিরবচ্ছিন্ন জুটি গড়ে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন গিল। ১০১ রানে অপরাজিত থাকেন এই ওপেনার। রাহুল অপরাজিত থাকেন ৪১ রানে। ২ উইকেট নিতে ৩৮ রান খরচ করেন রিশাদ। বাকি উইকেট দুটি ভাগাভাগি করে নেন তাসকিন ও মোস্তাফিজ।
এর আগে শুরুর ধাক্কা সামলে বাংলাদেশকে সম্মানজনক পুঁজি এনে দেন তাওহিদ হৃদয় ও জাকের আলি অনিক। ষষ্ঠ উইকেটে ১৫৪ রান যোগ করেন তারা। ব্যক্তিগত ৬৮ রানে ফিরে যান জাকের। শেষ ব্যাটার হিসেবে আউট হওয়ার আগে ১০০ রান করেন তাওহিদ। এছাড়া তানজিদ হাসান তামিম ২৫ ও রিশাদ হোসেন করেন ১৮ রান। বাংলাদেশকে অল্পতে বেধে রাখতে বড় ভূমিকা রাখেন শামি। ৫৩ রানে ৫ উইকেট নেন এই পেসার। ৩১ রানের বিনিময়ে ৩ উইকেট নেন হার্শিত রানা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশের ইনিংস: ২২৮/১০ (৪৯.৪ ওভার); তাওহীদ হৃদয় ১০০, জাকের আলী ৬৮, তামিম ২৫, রিশাদ ১৮; মোহাম্মদ শামি ৫/৫৩. রবীন্দ্র জাদেজা ৩/৩১
ভারতের ইনিংস: ২৩১/৪ (৪৬.৩ ওভার); গিল ১০১*, রোহিত শর্মা ৪১, লোকেশ রাহুল ৪১*; রিশাদ ২/৩৮
ফল: ভারত ৬ উইকেটে জয়ী