নির্বাচনে প্রার্থিতার বয়স ২৫ রাখার পক্ষেই মত দিয়েছে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি। একইসঙ্গে দলটির পক্ষ থেকে একজন দুই মেয়াদের বেশি প্রধানমন্ত্রী না থাকা, রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা যৌক্তিক পর্যায়ে উন্নীত করা এবং সংসদ, রাষ্ট্রপতি ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যকারিতার মেয়াদকাল চার বছর করার পক্ষে মত এসেছে।
মঙ্গলবার জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সাথে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির মতবিনিময় শেষে পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক এসব কথা জানান।
সাইফুল হকের নেতৃত্বে পার্টির ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দল মত বিনিময়ে অংশগ্রহণ করেন। প্রতিনিধি দলে ছিলেন— রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য বহ্নিশিখা জামালী, আকবর খান, আবু হাসান টিপু, আনছার আলী দুলাল, মীর মোফাজ্জল হোসেন মোশতাক, মাহমুদ হোসেন, রাশিদা বেগম, সাইফুল ইসলাম ও শেখ মোহাম্মদ শিমুল।
মতবিনিময় সভায় কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রিয়াজের নেতৃত্বে কমিশনার সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা শেষে সংবাদ সম্মেলনে সাইফুল হক বলেন, আমরা রাষ্ট্রের নাম ও সংবিধানের মূল নীতিমালা অক্ষুণ্ন রাখার পক্ষেই মতামত দিয়েছি। একইসাথে সংবিধানের মূলনীতিমালার সাথে স্বাধীনতার ঘোষণায় উল্লিখিত – সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচারকেও যুক্ত করার প্রস্তাব রাখা হয়েছে।
পার্টি প্রধানমন্ত্রীকে মন্ত্রী পরিষদের এক নম্বর সদস্য বিবেচনা করে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে মন্ত্রিপরিষদের যৌথ কর্তৃত্বের পক্ষে মত দিয়েছে বলেও উল্লেখ করেন সাইফুল হক।
সারা দেশে মোট ভোটের সংখ্যানুপাতিক হারে সংসদের উচ্চকক্ষের প্রতিনিধিত্বের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলেও জানান সাইফুল হক। তিনি বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের প্রশ্নই অবান্তর।
রাষ্ট্রপতি ও প্রধান বিচারপতিকে বাইরে রেখে জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল গঠনের পক্ষে মত দেওয়া হয়েছে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির পক্ষ থেকে। নির্বাচন কমিশনসহ সকল সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের দায়বদ্ধতার জন্য সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠনের পক্ষে মত দিয়েছে তারা।
নারীর অধিকার ও মর্যাদা নিশ্চিত করতে ও নারীবিরোধী তৎপরতা বন্ধে সাংবিধানিক সুরক্ষা দিতে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করে সাইফুল হক বলেন, বৈষম্য বিলোপে কোনো কমিশন হয়নি। প্রকট বৈষম্য দূর না হলে রাজনৈতিক সংস্কারও আখেরে টেকসই হবে না।
মে মাসে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের সাথে আরও একবার মতবিনিময় করার কথা রয়েছে বলে জানান সাইফুল হক।